অগ্রসর রিপোর্ট :জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশন সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে শুরু হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে সাবেক একজন ডেপুটি স্পিকার, সাবেক একজন মন্ত্রী, সাবেক দুইজন প্রতিমন্ত্রী, সাবেক নয়জন সংসদ-সদস্যদের নামে শোক প্রস্তাব আনা হয়েছে। এছাড়াও দশম অধিবেশনের পর মারা যাওয়া দেশের গণ্যমান্য বিভিন্ন ব্যক্তির নামে শোক প্রস্তাব আনা হয়।
শোক প্রস্তাব আনার পর মরহুমদের বিদেহী আত্মার মাফফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এর আগে স্পিকার সভাপতি মণ্ডলীর মনোনয়ন দেন। সভাপতি মণ্ডলীর সদস্যরা স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।
শোক প্রস্তাবে যাদের নাম রয়েছ তারা হলেন, দ্বিতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম জাতীয় সংসদ শরীয়তপুর-২ আসনের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, দ্বিতীয়, পঞ্চম, ষষ্ট, সপ্তম ও অষ্টম সংসদের ফরিদপুর-৩ আসেনের আসনের সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম এবং দশম সংসদের পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি ও প্রতিমন্ত্রী আ.খ.ম. জাহাঙ্গীর হোসাইন, তৃতীয় এবং নবম সংসদের যশোর-৩ আসনের এমপি ও প্রতিমন্ত্রী মো. খালেদুর রহমান টিটো, প্রথম জাতীয় সংসদ তৎকালীন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের শাহ-ই-জাহান চৌধুরী, সপ্তম জাতীয় সংসদ কক্সবাজার-৪ আসনের মোহাম্মদ আলী, সপ্তম ও অষ্টম সংসদ রাজশাহী-৩ আসনের মোহাম্মদ আবু হেনা, অষ্টম সংসদের নোয়াখালী-২ আসনের এম.এ. হাসেম, তৃতীয় সংসদের পটুয়াখালী-৩ আসনের অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, চতুর্থ সংসদ নরসিংদী-২ আসনের দেলোয়ার হোসেন খান, অষ্টম সংসদের মানিকগঞ্জ-২ আসনের সামসুদ্দীন আহমেদ, পঞ্চম সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন-১৬ এবং অষ্টম জাতীয় সংসদ সংরক্ষিত মহিলা আসন-৯ এর নুরজাহান ইয়াসমিন, অষ্টম জাতীয় সংসদ সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪ এর অ্যাডভোকেট খালেদা পান্নার মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব আনা হয়।
এছাড়া, সংসদ সচিবালয়ের কামরা পরিচারক মো. কোরবান আলী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শহীদ শেখ আবু নাসেরের সহধর্মিণী, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার চাচী, সংসদ-সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও সংসদ-সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের মা এবং সংসদ-সদস্য শেখ তন্ময়ের দাদী শেখ রাজিয়া নাসের, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বড় জা রওশন আরা ওয়াহেদ রানী, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ-সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট নারী নেত্রী আয়শা খানম, স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ভাষা সৈনিক মো. জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া, সাবেক সচিব, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক কবি ও গবেষক মনজুরে মওলা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক মুহ. আবদুল হান্নান খান, একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকের, উপমহাদেশের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ শাহাদাৎ হোসেন খান, বীর উত্তম ক্যাপ্টেন আকরাম, বিশিষ্ট অভিনেতা আব্দুল কাদের, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান এবং বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়-এর মৃত্যুতে এ সংসদ গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া, প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশ-বিদেশে যে সব ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসন-পুলিশের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, গণমাধ্যমকর্মী, ব্যবসায়ী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং অন্য সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী মারা গেছেন, তাদের মৃত্যুতে এ সংসদ গভীর শোক প্রকাশ করছে।
এসময় স্পিকার বলেন, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে জাতীয় সংসদ গভীর শোক প্রকাশ, সকল বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছে। উত্থাপিত শোকপ্রস্তাবগুলি ব্যতীত যদি কোন বিশিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের নাম বাদ পড়ে থাকে, তবে তার বা তাদের নাম ও সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত সংসদ সচিবালয়ে পৌঁছে দিলে তা পরবর্তীতে শোকপ্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিবেচনা করা হবে।