অগ্রসর রিপোর্ট : স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘আমাদের সরকার এ দেশের মানুষকে বিনা মূল্যেই করোনার টিকা দিতে চাচ্ছে। সরকারের আগে কোনো প্রাইভেট সেক্টর বা কোনো কোম্পানি টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করতে পারবে না। কে, কীভাবে, কখন শুরু করবে এবং প্রাইভেট সেক্টর কী সুযোগ পাবে, এটা সরকার শর্ত দিয়ে নির্ধারণ করে দেবে। কারণ এটা এমন না যে ডিসপেনসারিতে পাওয়া যাবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সচিব (সেবা বিভাগ) আব্দুল মান্নান শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
এ সময় আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী “ভ্যাকসিন হিরো”। আমাদের পূর্বাভিজ্ঞতা যেহেতু অনেকের চেয়ে বেশি, সেহেতু আমরা সারা দেশে সুন্দরভাবে শুরু করতে পারব এবং যথাযথভাবে সম্পন্নও করতে পারব। মোবাইল ফোনেই সবকিছু পাওয়া যাবে। মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দিয়েই সব কিছু করব। কারা রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হবে, এটা মেসেজেই পাবে। এ ব্যবস্থা আমরা করেছি এবং কাজটা প্রায় শেষের দিকে।’
সচিব বলেন, ‘দেশে করোনার টিকা উৎপাদনের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মতো তারা যদি মেইনটেইন করতে পারে, তাদের ট্রায়াল যদি সন্তোষজনক হয়, তাতে যদি আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম সন্তুষ্ট হয়, তাহলে আমরা সামনের দিকে এগোব।’
আব্দুল মান্নান বলেন, ‘কেউ হঠাৎ করে আসবে আর অনুমোদন দেব, এ রকম না। যারা মাঠে কাজ করবে এবং যারা ট্রেইনার তাদের আমরা যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তাদের ইনসেনটিভ দেয়ার জন্য বলেছি। ট্রেনিংয়ের জায়গাগুলো আমাদের সিভিল সার্জন থেকে শুরু করে সবাই এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই ভ্যাকসিন দেয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। পৃথিবীর যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বেশি।’
এর আগে হাসপাতালের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যবিষয়ক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন সচিব।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম তরিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ডা. বেলাল হোসেন, ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. হাফিজুর রহমান, গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান প্রমুখ।