অগ্রসর রিপোর্ট : ব্রিটেনসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে ছড়িয়েছে নতুন করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের এই ধরণটি আরো বেশি সংক্রমক। ভাইরাসটি নিয়ে সারা বিশ্বে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে অনেক দেশ। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো যোগাযোগ বন্ধ করেনি। বরং লন্ডনের সঙ্গে বিমান চালু থাকবে বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে লন্ডন থেকে কেউ এলে তাকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘লন্ডন থেকে দেশে এলেই ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিনে যেতে হবে। রাজধানীর দিয়াবাড়ী ও হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা আছে। কিছু হোটেলের ব্যবস্থাও রাখা হবে।’
কবে থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে, এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘সোমবার রাতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি বৈঠকে ঠিক করে জানিয়ে দেয়া হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঢাকা-লন্ডন ফ্লাইট যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ফ্লাইট চালু থাকবে। তবে যারাই লন্ডন থেকে আসবেন তাদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। সরকার এ কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করবে। তবে যাত্রীকে সব খরচ বহন করতে হবে। সিভিল অ্যাভিয়েশন কতৃপক্ষ কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, একদিন আগের নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে এলেও বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
আনোয়ারুল জানান, লন্ডন থেকে যারা আসবেন তাদের দুটো বিকল্প দেওয়া হবে। দিয়াবাড়ী ও হজ ক্যাম্পে সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন অথবা হোটেলে নিজস্ব খরচে কোয়ারেন্টিন। কেউ সিলেটে আসলে সেখানে কোয়ারিন্টিনের ব্যবস্থা করা হবে।’
সরকারের কোয়ারিন্টিনে না থেকে হোটেলে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হোটেল খরচ দিতে হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।