অগ্রসর রিপোর্ট :দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হলো উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হন। এ সময় বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ায় ও ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় প্রায় ৯ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়ে বিভিন্ন স্টেশনের আটকে থাকা ট্রেনের যাত্রীরা। পরে পাবর্তীপুর ও ঈশ্বরদী থেকে দুটি ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করলে চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর ৬টার দিকে পার্বতীপুর থেকে রাজশাহীগামী লোকাল ‘উত্তরা ট্রেন’ জয়পুরহাটে আসছিল। এ সময় জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল রেলক্রসিংয়ে কর্তব্যরত লাইনম্যান ঘুমিয়ে থাকায় জয়পুরহাট থেকে হিলিগামী ‘বাধন এক্সপ্রেস’ যাত্রীবাহী বাসটি সেখানে পৌঁছালে ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বাসের ১০ জন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন আরও পাঁচ যাত্রী। তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় বগুড়া মেডিকেলে নেওয়ার পথে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়। বাকীদের আবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এদিকে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার হারাইল গ্রামের মামুনুর রশিদ (বাসচালক), চিত্রাপাড়ার নিশি মণ্ডলের ছেলে রেজাউল করিম, হিচমী গ্রামের মানিকের ছেলে রমজান, কুঠিবাড়ী ব্রিজ এলাকার শরীফুলের ছেলে আবদুল লতিফ, ক্ষেতলালের ইটাখোলা এলাকার মঙ্গলার ছেলে সুমন, পাঁচবিবি উপজেলার আটাপাড়ার মোশারফের ছেলে মুঞ্জুরুল নাসিম, জিয়ার মোড়ের মিরাজের ছেলে জিয়া হক, আটুল গ্রামের সরোয়ার হোসেন, আরিফুর রহমান রাব্বি, আক্কেলপুর উপজেলার চকবিলা গ্রামের দুদু কাজীর ছেলে সাজু মিয়া, নওগাঁর রানী নগর উপজেলার বিজয়কান্দি গ্রামের বাবুল ও টাঙ্গাইলের মাটিকাটা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে জুলহাস।