অগ্রসর রিপোর্ট :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ধষর্ণ, নারী নির্যাতন, কিশোর গ্যাং, মাদক ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখতে হবে। সে দলের যেই হোক না কেন তাকে শাস্তি পেতেই হবে।’ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১১৬, ১১৭ ও ১১৮তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আর্থসামজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি
সরকারপ্রধান বলেন, ‘লাখো শহীদের রক্তে ঝরে আমাদের এই স্বাধীনতা এসেছে। বাংলার মানুষের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। আইন প্রশাসনে যেন আমাদের মেয়েরা ঢুকেত পারে এজন্য তিনি আইন সংশোধন করেন। আওয়ামী লীগ জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে, সেভাবে আমরা প্রস্তুতি নিই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আমরা আবারো ক্ষমতা আসি। আর্থসামজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিই। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করি।’ তিনি বলেন, ‘দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত আমরা করেছি। যার ফলে করোনাকালেও ভার্চু্য়ালি আলোচনা অব্যাহতসহ নানা ধরনের কাজ করা যাচ্ছে।’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রশিক্ষণ বিশ্বে দৃষ্টান্ত
প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় দীর্ঘদিন আপনাদের প্রশিক্ষণ বন্ধ ছিল। আবার তা চালু করা হয়েছে। এর মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আপনারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, সারা বিশ্বের কাছে একটা অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আপনারা একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কর্মজীবনে প্রবেশ করবেন। তাই আপনাদের অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতনতা মেনে চলতে হবে। কর্মস্থলে সবাই যেন তা মেনে চলে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনাদের বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে জানা দরকার, ইতিহাস জানা দরকার। বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়লেই আপনারা তার চিন্তাচেতনাসহ ইতিহাসের অনেক বিষয় জানতে পারবেন।’
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে হবে
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা ভাগ্যহারা মানুষ, তাদের জন্য জাতির পিতা জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের জন্যই আপনাদের কাজ করে যেতে হবে। দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত রাখবেন। মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায়, প্রশাসনের সেবা পায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। দেশটাকে উন্নত করতে হলে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে হবে। কোনো মানুষকে অবহেলার চোখে দেখবেন না। মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। প্রত্যেকের অবদান রয়েছে সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি।’
মানুষের জীবনযাত্রা সচল রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে টানা ক্ষমতায় থাকায় আমরা দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। এর মধ্যে যতটুকু সম্ভব আমরা পূরণ করার চেষ্টা করছি। মানুষের জীবনযাত্রা যেন সচল থাকে সেজন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। উন্নয়শীল দেশে হিসেবে আমাদের যা যা করণীয় তা গড়ে তুলেছি। এজন্য দিকদর্শন থাকতে হয়, তা না হলে একটা দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা ১০০ বছরের জন্য ডেল্টা প্ল্যান করেছি। সেটাও বাস্তবায়ন করা হবে।’
সময় হলেই চলে আসবে করোনা ভ্যাকসিন
করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে। কি হবে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। করোনা ভ্যাকসিন আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বুকিং দিয়ে রাখা হয়েছে। সময় হলেই চলে আসবে। তাই চিন্তিত না হয়ে সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে।’