অগ্রসর রিপোর্ট : বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার সংঘাতে দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে। এই নিয়ে দুই পক্ষের অন্তত ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই সংঘাতের সূত্রপাত।
যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইরান ও ইউরোপীয় শক্তিগুলো লড়াই থামিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে। সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে তারা এই সংঘাত বন্ধের চেষ্টা করবে। আর দুই পক্ষকেই শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। মধ্যস্থতার আহ্বান জানিয়েছেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসও।
এদিকে এই সংঘাত নিয়ে আলোচনার জন্য জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জার্মানি ও ফ্রান্স এই বৈঠকের অনুরোধ জানালেও এতে সমর্থন রয়েছে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সদস্য দেশ বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য ও এস্তোনিয়ার।