অগ্রসর রিপোর্ট : যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেলে তাকেও যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করে। এছাড়া যারাই এসব অভিযোগে ধরা পড়বে তাদেরকেই বহিষ্কার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর উত্তরায় যুবলীগের একটি কর্মিসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগের পর এখন যুবলীগে চলছে শুদ্ধি অভিযান। গত বুধবার অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ফকিরাপুলে ক্যাসিনোর মালিক ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। শুক্রবার তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে যুবলীগ। এছাড়া শুক্রবার বিপুল পরিমাণ অর্থ, অস্ত্র এবং মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন যুবলীগের আরেক নেতা জি কে শামীম। র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানাবো, আমাদের যারা এই কাজ করে তাদের ধরুন। যত বড় নেতাই হোক, আমি করলে আমাকেও ধরুন।’
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন যুবলীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে সংগঠনের প্রধান বলেন, ‘পত্রপত্রিকা এখন ক্যাসিনোয় ভরা। এই তথ্যগুলো আমরা আগে পেলে ব্যবস্থা নিতে পারতাম। এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অ্যাকটিভ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাকেই ধরবে তাকেই বহিষ্কার করবো।’
ক্যাসিনোর সঙ্গে যুবলীগের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার তথ্য জানলে ব্যবস্থা নিতেন উল্লেখ করে ওমর ফারুক বলেন, ‘পত্রপত্রিকা দেখছেন না? সমস্ত পত্রিকা এখন ক্যাসিনোতে ভরা। এই ক্যাসিনোর মালিকানায় নাকি আমরা, ‘খামোশ’ এটি মিথ্যা নয়। এই পত্রিকার ইনফরমেশন যদি আমরা আগে পেতাম, তাহলে ব্যবস্থা নিতে পারতাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকটিভ যাকে ধরবে তাকেই বহিষ্কার করবো। তুমি যেই হও, রাজনীতি করার অধিকার থাকবে না।’
যুবলীগ নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘নেতা হইছো তাই না, পতন হইলে বউ ছাড়া কেউ থাকে না। এটা মাথায় রেখো। বউ খারাপ হলেও তার থেকে শ্রেষ্ঠ কেউ নাই। আমি কাউকে ক্যাডার রাজনীতি করতে দেবো না।’
যুবলীগ করার প্রধান শর্ত উল্লেখ করে দলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘যুবলীগ করতে হলে ম্যানেজার হতে হবে। ম্যানেজার মানে কী? হাউ টু ম্যানেজ, হাউ টু এডজাস্ট। আপনি যদি ম্যানেজ করতে না পারেন আপনি সংসারেও সুখী হতে পারবে না, জীবনেও না।’