অগ্রসর রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস সমুন্নত রাখতে জনগণের আশা-আকাংখা পূরনের জন্য কাজ করে যেতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। জনগণ জানে, আওয়ামী লীগ যখনি ক্ষমতায় আসে, তখনি তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। প্রধানমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির সভায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদেরকে জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে এবং তাদের আশা-আকাংখা পূরনের জন্য কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবো এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারবো।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি যুগপৎ নিদের্শনা প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে মনে রাখতে হবে যে দেশ ও জাতির প্রতি তাদের বিশাল দায়িত্ব রয়েছে এবং তাদেরকে সেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে এবং ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছে তাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তারা কেবল নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ক্ষমতায় আসে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আর যখন যে দল সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করে এবং জনগণের জন্য কাজ করে, সে দল ক্ষমতায় থাকলে তাদের আন্দোলনের জন্য স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
তিনি বলেন, ‘অপরদিকে যখন কোনো দল অবৈধভাবে এবং সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতায় থাকে তখন দেশের কোনো উন্নয়ন হয় না এবং জনগণের ভাগ্যেরও পরিবর্তন হয় না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে গত এক দশকে দেশে নজিরবিহীন উন্নতি হয়েছে এবং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দারিদ্র্যের হার ২১ শতাংশে নামিয়ে এনেছি এবং ৮ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি এবং দেশের জনগণ এর সুফল পাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে- তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করা এবং তাদের দারিদ্র্যমুক্ত করা। আমরা সেই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছি। আমাদের আরো বহুদূর যেতে হবে এবং জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।’
আওয়াম লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়’- এই পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে। দেশ এর সুফল পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটি স্থান এবং সারা বিশ্ব বাংলাদেশ সম্পর্কে আগ্রহী।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি ও যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও তাদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের সাফল্যের কথা সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও আগুন সন্ত্রাস শক্তহাতে দমন করেছে এবং মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, চলবে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সরকারকে সহযোগিতার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ লক্ষ্যে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে। তাই আমি খুবই আশাবাদী যে দেশ আরো এগিয়ে যাবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জাতির পিতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠন করেছিলেন। সুতরাং তৃণমূল থেকে দলকে শক্তিশালী করতে হবে এবং যাতে নিয়মিতভাবে দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।’