অগ্রসর রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আবহাওয়া সেবার আধুনিকায়ন এবং কার্যকর আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থার অব্যাহত উন্নয়ন প্রাকৃতিক দুযোর্গে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে।
প্রধানমন্ত্রী আজ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস-২০১৮ উপলক্ষে এক বাণীতে বলেন, আমাদের সরকার স্থানীয় জনগণ, বিশেষ করে কৃষকদের ও জাতীয় অর্থনীতিতে আবহাওয়া ও জলবায়ু সেবা প্রদান উন্নয়নের লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশ আঞ্চলিক আবহাওয়া ও জলবায়ু সেবা প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
তিনি বলেন, এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ‘ওয়েদার- রেডি, ক্লাইমেট স্মার্ট’ যথাযথ হয়েছে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্মতার বাস্তবতার মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা স্থিতিশীল রাখতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতি এবং এর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় এসডিজি ১৩টি জরুরি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে বিজ্ঞানভিত্তিক জলবায়ু তথ্য এবং ভবিষ্যৎ সিনারিও জেনারেশন, মৌসুমী পূর্বাভাস এবং স্বল্পমেয়াদী পূর্বাভাস এবং সময়োচিত ডেলিভারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আগাম সর্তক ব্যবস্থা এবং আমাদের জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে দুর্যোগ ঝুঁকি কমিয়ে আনার পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে এ সকল ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া ও জলবায়ুর কোন রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক সীমারেখা নেই। তিনি বলেন, বিশ্বের যে কোন এলাকার জন্য আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাস নির্ভর করবে পৃথিবীর অপর প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ জন্য বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট উদ্বেগ উৎকন্ঠা প্রশমনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড মেট্রোলোজিকেল ওরগানাইজেশনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগগঠন ও ফেরামে সক্রিয় অংশ গ্রহন করছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।