অগ্রসর রিপোর্ট: রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে কানাডা বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনয়েট প্রিফন্টেইন।
এছাড়াও বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের মাধ্যমে কানাডা বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায় বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সোমবার সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকারের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনাকালে সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৬৩তম সিপিসি, রোহিঙ্গা ইস্যু, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
হাইকমিশনার বেনয়েট প্রিফন্টেইন বলেন, মিয়ানমার কর্তৃক বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য একটি কানাডিয়ান প্রতিনিধিদল খুব শিগগির কক্সবাজার ও পরবর্তীতে মিয়ানমার সফর করবে।
হাইকমিশনার বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়নে কানাডা বাংলাদেশের সাথে কাজ করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কানাডার সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। সংসদীয় চর্চা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্পিকার ৬৩তম সিপিসিতে কানাডার একটি বড় সংসদীয় প্রতিনিধিদল সক্রিয় অংশগ্রহণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। সিপিসি সফলভাবে আয়োজন করায় হাইকমিশনার স্পিকারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে এবং একই ধারাবাহিকতায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০ অর্জনেও সক্ষম হবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।