আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম।
প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৮৭৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৩২৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৫০ কোটি ৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, নদী ড্রেজিংয়ের পর যে বালু উত্তোলন করা হয়, সেটি দিয়ে ইটের বিকল্প তৈরি করতে হবে অথবা ‘হলো ব্লকস’ তৈরি করতে হবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করা যাবে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও সাশ্রয়ী হবে। পাইলট প্রকল্পের আওতায় শিগগির একাজ শুরু হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, চট্রগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৯০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
বাগেরহাট জেলায় ৮৩টি নদী, খাল পুনঃখনন এবং মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি (২য় পর্যায়) প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ এবং উপকেন্দ্রসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
তিনটি পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তথ্য ভবন নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন নব সংযুক্ত শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল এবং সারুলিয়া এলাকার সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩৪ কোটি ২ লাখ টাকা। পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।