অগ্রসর রিপোর্ট :ব্রিটেনে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলেছে বিশ্বের ৭০টি দেশে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনা প্রজাতির সন্ধান মিলেছে ৩১টিরও বেশি দেশে। এ বিষয়ে সতর্ক করে বার্তা দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা। করোনাভাইরাসের এই প্রজাতি খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকায় খুঁজে পাওয়া করোনার নতুন প্রজাতিও ছড়াতে শুরু করেছে। প্রথমে জানা গিয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এই প্রজাতি ব্রিটেনে ঢুকে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্তত ৩১টি দেশে এই নতুন প্রজাতি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। খবর রয়টার্সের
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসুস বলেন, ব্রিটেন থেকে ছড়ানো বি.১.১.৭ প্রজাতি ৭০ শতাংশ দ্রুত গতিতে মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে। এক সপ্তাহে অন্তত ১০টি দেশে ব্রিটেনের প্রজাতি ছড়িয়ে পড়ার খবর মিলেছে।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সেন্টার ফর ম্যাথেমেটিক্যাল মডেলিং এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন বের করেছে সায়েন্স জার্নালে। সেখানে গবেষকরা বলেছেন, নতুন প্রজাতি যদি বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে সংক্রমণে মৃত্যু বাড়বে, পাশাপাশি সংক্রমণজনিত জটিল রোগও ছড়াবে। হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলোতে রোগীর ভিড় আরও বাড়বে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে স্পেনে গত অক্টোবরেই ছড়িয়েছিল এই নতুন ভাইরাল প্রজাতি। স্পেনের কোনো ফার্ম থেকে এই ভাইরাল প্রজাতি ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক এই কারণেই ডেনমার্কে গত মাসে লক্ষাধিক মিঙ্ক জাতীয় প্রাণীকে মেরে ফেলে হয়েছিল।
বিস্তারিত তথ্য সামনে না এলেও, শোনা যাচ্ছে ওই প্রাণীদের শরীরে ভাইরাসের নতুন প্রজাতি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। ব্রিটেন থেকে করোনার ছোঁয়াচে প্রজাতি ছড়াচ্ছে এমন খবর মেলার পরেই সীমান্ত বন্ধ করে দেয় অনেক দেশই। ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরেও নতুন প্রজাতির সংক্রমণ রোখা যায়নি।