অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন সচিব অশোক মাধব রায়, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম.মোজাম্মেল হক এবং অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। শাজাহান খান বলেন, ঢাকার চারদিকে নদী তীরের উচ্ছেদকৃত ভূমি পুনরায় যাতে দখল না হয় সেজন্য বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষা নদীর তীরে ব্যাংক প্রটেকশনসহ ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি মেয়াদে আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে শ্যামপুরে এবং শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কাঁচপুরে দু’টি ‘ইকোপার্ক’ নির্মাণ করা হয়েছে। পাটুরিয়া-বাঘাবাড়ী নৌ রুটে রাতে নৌযান চলচলের জন্য নাইট নেভিগেশন চালু করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা, বালু, শীতলক্ষা ও তুরাগ নদীর দুষণমুক্তির জন্য দুষণের উৎসমুখ বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে, কাজ চলমান রয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশ হতে পরীক্ষামূলকভাবে ৮ দশমিক ৫০ লক্ষ ঘনমিটার বর্জ্য উত্তোলন করা হয়েছে।
শাজাহান খান বলেন, ঢাকা ও বরিশাল, নদী বন্দর ২টি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বরগুনা ও যশোরের নওয়াপাড়া নদী বন্দরের উন্নয়ন এবং সীতাকুন্ড, কাঁচপুর ও টঙ্গীতে ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। ভোলা নদীবন্দর ও টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ছাতক ও চিলমারী নদী বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। যাত্রীদের সহজে পারাপারের লক্ষ্যে ১০০ পন্টুন নির্মাণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, নদীর তীর দখল ও দূষণরোধ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম জোরদার এবং নৌপথ পথ খনন ও সংরক্ষণের মাধ্যমে বছরব্যাপী নৌযান চলাচলে বিঘœ সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেয়া হবে না। দখল ও দূষণকারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। পরে তিনি বিকেলে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে সেবা কল্যাণ স্ট্রাষ্টের এক আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী সভায় বক্তব্য রাখেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।