বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মো. নিজামুল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
মামলাটি রবিবার শুনানির পর সোমবারের কার্যতালিকায় আদেশের জন্য রাখা হয়েছিল। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের কার্যতালিকার শীর্ষেই ছিল আবেদনটি।
শুনানিকালে আদালত জানায়, বিধিমালাটি প্রণয়নের জন্য ২৪ নভেম্বরই শেষ সময়। আর সময় দেয়া হবে না।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিধিমালাটি প্রণয়নের বিষয়ে আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘একটি খসড়া তৈরি করে রাষ্ট্রপতির দফতরে পাঠানো হয়েছে। তাই আমাকে ৮ সপ্তাহ সময় দেয়া হোক।
পরে আদালত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় এবং এ সময়ের মধ্যে বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরি, নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা বিধান এবং চাকরির অন্যান্য শর্তাবলী) বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী, পৃথক শৃঙ্খলাবিধি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ১৯৮৫ সালের গভর্নমেন্ট সার্ভিস রুলসের অধীনে থাকার কথা বলা হয়েছে অধস্তন আদালতের বিচারকদেরও। ১৯৯৯ সালে মাসদার হোসেন মামলার রায়ে বিচারকদের পৃথক শৃঙ্খলাবিধির নির্দেশনা থাকলেও সে বিধি এখনও তৈরি হয়নি। মাসদার হোসেন মামলার রায় ঘোষণার আট বছর পর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করা হয়।