জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৬ উপলক্ষে গৃহীত প্রকাশনার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকারের দায়িত্ব নেয়ার সময় বিদ্যুতের অপর্যাপ্ততা ও লোডশেডিংএ জনজীবন বিপর্যস্ত ছিল। এ অবস্থা উত্তরণের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বিগত ৮ বছরে সরকারি বেসরকারি খাতে ৭৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত ৭৮০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বাণীতে বলেন, বর্তমানে ১০ হাজার ৭৪৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, গ্যাসের ঘাটতি পূরণকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জরুরিভিত্তিতে আমদানি করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ, সারকারখানা, শিল্প, বাণিজ্যিক ও আবাসিক খাতে বর্তমানে প্রায় ৩৪ লাখ গ্রাহকের নিকট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
সরকার প্রধান বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের অবকাঠামো ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদের গুরুত্ব সঠিকভাবে অনুধাবন করে বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ ১৯৭৫ সালে শেল অয়েল কোম্পানির মালিকানাধীন কয়েকটি গ্যাসক্ষেত্র স্বল্পমূল্যে ক্রয়ের এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন, যার সুফল আজও বাংলাদেশের জনগণ ভোগ করছে। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করেন তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ১৬০০ মেগাওয়াট। ২০০১ সালে তা ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছিল। তার সরকারেই প্রথম বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নীতিমালা প্রণয়ন করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি বেসরকারি উভয় খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তার সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমিয়ে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করা হয়েছিল। গ্যাসের ঘাটতি পূরণকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জরুরিভিত্তিতে আমদানি করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ, সারকারখানা, শিল্প, বাণিজ্যিক ও আবাসিক খাতে বর্তমানে প্রায় ৩৪ লাখ গ্রাহকের নিকট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৬ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন তিনি।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।