রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শনিবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘ছাত্রীদের ওপর বখাটেরা একের পর এক হামলা করে যাচ্ছে। ছাত্রীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। এ থেকে রেহাই পেতে হলে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাই ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ১৮ অক্টোবর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানবন্ধন এবং ২০ অক্টোবর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, কিছু অমানুষ, বখাটেরা ছাত্রীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এটা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। এ জন্য দেশব্যাপী সামাজিক আন্দোলন, সমাজ সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
কর্মসূচি ঘোষণা করে মন্ত্রী বলেন, ১৮ অক্টোবর বেলা ১১টায় দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতৃকি মানববন্ধন করা হবে। এই মানববন্ধনের স্থায়িত্ব হবে ১৫ মিনিট। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা, শিক্ষকরা হাতে হাত দিয়ে দাঁড়াবেন। ছাত্রীদের ওপর এই ধরনের নৃশংস হামলা যেন আর না হয় সেজন্য সচেতন থাকবেন। আহত নার্গিসের জন্য দোয়া করবেন।
এদিকে ২০ অক্টোবর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভার আয়োজন করবে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। যেখানে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, মসজিদের ইমাম, সমাজ সচেতন মানুষ, আলেম-ওলামা, অভিভাবকসহ নানা পেশাজীবীর মানুষ উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা একটি কমিটি গঠন করবেন। যে কমিটির কাজ হবে ছাত্রীদের সমস্যা শুনে তাদের সমস্যা কিভাবে নিরাপত্তা দেওয়া যায় সেটা তদারকি করা। অপরাধী চিহ্নিত হলে তাকে পুলিশে দেয়া।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘তনু, রিশা ও নার্গিসের হত্যাকারীদেরকে দ্রুত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত তাদেরকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করা হবে। যাতে পরবর্তীতে আর এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।’
তিনি বলেন, ‘অপরাধী যে দলেরই হোক সে অপরাধী, সে পার পাবে না। এটা কেবল আমার কথা নয়, প্রধানমন্ত্রীও সংসদে বলেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব এ এস মাহমুদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ওহিদুজ্জামানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।