অগ্রসর রিপোর্ট: ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজধানীতে প্রথম সমাবেশ করেছে বিএনপি। বুধবার বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
আগের দিন মঙ্গলবার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। তিনি বন্দি অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই হাসপাতাল থেকেই তিনি পল্টনের সমাবেশে ভার্চুয়াল বক্তব্য দেন বিএনপি নেত্রী।
খালেদা জিয়া বলেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পুননির্মাণ করতে হবে। তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও শোষণহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে। আসুন প্রতিহিংসা নয়, ভালোবাসা দিয়ে নতুন সমাজ গড়ে তুলি।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতাল থেকে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব বলেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া বলেন, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পরে আপনাদের সামনে কথা বলতে পারার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমার কারাবন্দি থাকা অবস্থায় আপনারা আমার কারামুক্তি ও রোগমুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। দোয়া করেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্যে দিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকার থেকে মুক্তি পেয়েছি।
খালেজা জিয়া বলেন, আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের বীর সন্তানদের যারা মরণপণ সংগ্রাম করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। শতশত শহীদদের জানাই শ্রদ্ধা। এই বিজয় আমাদের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। দীর্ঘদিনের নজিরবিহীন দুর্নীতি ও গণতন্ত্রের ধ্বংসের স্তুপের মধ্যে থেকে আমাদের নির্মাণ করতে হবে এক সমদ্ধ বাংলাদেশ।;
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ছাত্র, তরুণরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তরুণরা যে স্বপ্ন নিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে মেধা, যোগ্যতা জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ি তুলতে হবে। শোষণহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। সকল ধর্ম গোত্রের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শান্তি, প্রগতি আর সাম্যের ভিত্তিতে আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণে। আসুন আমরা তরুণদের হাত শক্তিশালী করি। ধ্বংস নয় প্রতিশোধ নয় , প্রতিহিংসা নয় ভালোবাসা শান্তি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলি।