প্রযুক্তি নির্মাতা অপো এআই সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে। নতুন সেন্টারের লক্ষ্য হলো প্রযুক্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে ব্যবহারকারীর জন্য বৃহৎ পরিসরে এআইভিত্তিক পণ্য ও ফিচার নিয়ে গবেষণা করা। যার মাধ্যমে অপো ব্যবহারকারীদের এআই ঘরানার সেরা অভিজ্ঞতা দেওয়া সম্ভব হবে।
নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যে রেনো-১১ সিরিজে উদ্ভাবনী অপো এআই ইরেজার ফাংশন ছাড়াও মানোন্নত জেনারেটিভ এআই সুবিধা যুক্ত করবে। ব্র্যান্ডটি এআই প্রযুক্তির উন্নয়নে অগ্রগামী ভূমিকা ও সারাবিশ্বে ব্যবহারকারীর জন্য প্রযুক্তিটির ব্যবহার সহজ করতে গবেষণা করছে।
অপোর চিফ প্রোডাক্ট অফিসার পিট লাউ বলেন, ফিচার ফোন, স্মার্টফোনের পরের প্রজন্মের এআই ঘরানার সব স্মার্টফোনে মোবাইল ফোন শিল্পের তৃতীয় প্রধান রূপান্তরকে প্রতিনিধিত্ব করবে। এআই স্মার্টফোনের যুগে মোবাইল ফোন শিল্প ও ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা– উভয়ই বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সাক্ষী হবে। সময়ের এআই স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে ও মানোন্নয়নে কাজ করবে। অংশীজনের সঙ্গে যৌথভাবে মোবাইল ফোন শিল্পের উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ও মোবাইল ফোনের বুদ্ধিবৃত্তিক অভিজ্ঞতাকে বিনির্মাণে কাজ করব বলে জানান পিট।
ফিচারে জেনারেটিভ
ব্র্যান্ডের নিজস্ব লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল অ্যানডেসজিপিটি প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে ১৮ কোটি বিলিয়ন প্যারামিটার থাকবে।
প্রধান তিনটি প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য যথাক্রমে ডায়ালগ এনহ্যান্সমেন্ট, পার্সোনালাইজেশন ও ক্লাউড-ডিভাইস কোলাবরেশন। মডেলের সক্ষমতার মূল লক্ষ্য হলো টুলস, নলেজ, মেমোরি ও ক্রিয়েশন। নতুন অপো ফাইন্ড এক্স সেভেন সিরিজ উন্মোচনের পর জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির সুবিধা, যেমন– ছবিতে ইন্টেলিজেন্ট অবজেক্ট রিমুভাল ও ফোন কনভারসেশন সামারি প্রযুক্তি খাতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।