অগ্রসর রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৯তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট, একটি উদ্বোধনী খাম এবং একটি ডাটা কার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করেন।
তিনি আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গণভবনে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকেট, দশ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম এবং পাঁচ টাকা মূল্যমানের ডাটা কার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করেন।
এ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী স্মারক ডাক টিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ডে স্বাক্ষর এবং একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডলসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ডসমূহ আজ থেকেই ঢাকা জিপিও-এর ফিলাটেলিক ব্যুরোতে বিক্রি করা হচ্ছে।
পরবর্তীতে অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সকল ডাকঘরে এসব টিকিট বিক্রি করা হবে।
এছাড়া উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগ জনগণের ক্রমবর্ধমান আর্থিক লেনদেনের চাহিদা মেটাতে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের অংশ হিসেবে বর্তমানে প্রচলিত ‘পোষ্টাল ক্যাশ কার্ড’ এবং ‘ইএমটিএস’ সেবার নবরূপায়িত রূপ ’নগদ’ নামে একটি আর্থিক সেবা চালু করেছে।
ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত জনসাধারণের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি- এই মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে ২০১০ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাক বিভাগের ‘পোস্টাল ক্যাশ কার্ড’ এবং ‘ইএমটিএস’ সেবাটি উদ্বোধন করেছিলেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে ‘নগদ’ সেবাটিরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ।
ডাক বিভাগের সূত্র মতে, ‘নগদ’ আর্থিক সেবা হচ্ছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের একটি সম্প্রসারিত আর্থিক সেবা। যা বিভিন্ন ডিজিটাল চ্যানেল যেমন অ্যাপ, মোবাইল ফোন, এটিএম, পিওএস টার্মিনাল, এনএফসি-এনাবেল্ড ডিভাইস, চিপ, ইলেকট্রনিক্যাল এনাবেল্ড কার্ড, বায়োমেট্রিক ডিভাইস, ট্যাবলেট সহ অন্যান্য সব ডিজিটাল সিস্টেম এর মাধ্যমে দ্রুততার সাথে আর্থিক লেনদেনে সক্ষম।
এছাড়া, ৬৬ শতাংশ আর্থিক অন্তর্ভূক্তির বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের আর্থিক মূলধারার সাথে যুক্ত করার লক্ষ্যে ‘নগদ’ কাজ করবে।