ষ্টাফ রিপোর্টার- সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন শুধু বিএনপির নয়, এটা জনগণের দাবি। কাজেই যত দ্রুত সম্ভব, দেশে নতুন নির্বাচন হতেই হবে। গতকাল মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সাবেক এ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারি কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। সেটা ছিল ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। কাজেই নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতার পরিবর্তন হতে হবে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, জনগণের জন্য রাজনীতি করে। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। দেশের জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তাই আরেকটা নির্বাচন জনগণের দাবি। সরকারের উচিত জনগণের ভাষা বোঝা, জনগণের ওপর আস্থা আনা। না হলে আবার যদি তারা একতরফা নির্বাচনের দিকে যায়, তবে তার দায়দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তারাই দায়ী থাকবে। জাতীয় নির্বাচনের মতো সিটি নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি। ফের যদি এমন হয়, তবে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার দায়ভার বর্তমান সরকারকেই বহন করতে হবে।
গত ৫ জানুয়ারির পর থেকে এ দাবি জানিয়ে আসছে দলটি। এর আগে ২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনেও নতুন একটি নির্বাচন দাবি করেন বিএনপি নেতারা। ওই সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা বলেছিলেন, ‘মধ্যবর্তী নয়, বিএনপি চায় নতুন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন, যাতে সব দল অবাধে অংশ নিতে পারে। জনগণের চাপের মুখে এ সরকার নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা মেনে নেবে। ওইদিন বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেছিলেন, ‘৫ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়ে গেল, তা নিয়মতান্ত্রিক নয়। এখানে নতুন করে একটি নির্বাচন দিতে হবে। মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রসঙ্গই আসে না। আমরা নতুন নির্বাচন চাই। আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে জনগণ সব ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীন স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’
একই দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণেই অপরাধীরা এখন আর আইনকে ভয় পায় না। জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।