তিনি বলেন, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকারের শাসনামলে সামরিক বাহিনী রাতে সুরঞ্জিতের বাসায় ঢুকলে তার ৮-১০ বছরের বাচ্চা ভয়ে চিৎকার শুরু করে। তার বাবাকে বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করার দৃশ্য দেখে সেই ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক বছর তাকে চিকিৎসা দিতে হয়েছিল। কানাডায় নেয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক জীবনে এমন অনেক ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আহত হয়েছিলেন। অনেক সংগ্রামের সাথী ছিলেন এই সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
তিনি বলেন, আমরা যারা বয়োবৃদ্ধ হচ্ছি তাদেরকে তো চলে যেতেই হবে। তবে নতুন যারা তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে পারে সেটাই চাই। কারণ একটা আদর্শ নিয়ে, লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশ স্বাধীন করে গেছেন।
আলোচনা শেষে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরপর সুরঞ্জিতের সম্মানে সংসদ সদস্যদের এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে সংসদের কার্যক্রম মুলতবি করা হয়।