অগ্রসর রিপোর্ট : সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে অভিযান পরিচালিত হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুধু ঢাকায় নয়; পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই চলবে। এই অভিযানের মাধ্যমে টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে। যত বড় মাস্তান, যত বড় নেতা, আর যত বড় প্রভাবশালীই হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার স্থানীয় পর্যটন গলফ মাঠে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপি, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, জাফর আলম এমপি, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের ভেতরে তৈরী হওয়া আগাছা পরগাছা পরিষ্কার করতে অ্যাকশন শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভিযানের মাধ্যমে সারাদেশে টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে। যত বড় মাস্তান হোক, যত বড় নেতাই হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রোহিঙ্গাদের না ফেরাতে মিয়ানমারের হাতে অজুহাতের অস্ত্র তুলে দিচ্ছে বিএনপি। তারা আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে বিদেশে বসে বাংলাদেশের সরকারকে হটানোর চেষ্টা করছে। গত দুই বছরে তারা দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে বিভিন্ন রকম নালিশ করলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো কথা বলেনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সম্মেলনে গেছেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের জন্য, মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির জন্য। শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার এদেশের জনগণের সাথে রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে দলের নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা কর্মীরাই হচ্ছে দলের প্রাণ।