আজ রবিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত তিনি সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে সাক্ষ্য দেন।
এর আগে খাদিজা সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে আদালতে এসে পৌঁছান। খাদিজার সঙ্গে তার বাবা মাসুক মিয়াসহ অন্যরা ছিলেন।
আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান জানান, খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় ৩৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। খাদিজার সাক্ষ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ১ মার্চ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে।
গত ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মাথার খুলি ভেদে করে মস্তিষ্কও জখম হয়।
হামলার পর ঢাকায় এনে স্কয়ার হাসপাতালে ৪ অক্টোবর বিকালে খাদিজার অস্ত্রোপচার করে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে ১৩ অক্টোবর তার লাইফ সাপোর্ট খোলার পর ‘মাসল চেইন’ কেটে যাওয়া তার ডান হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়।
ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে তিন দফা অস্ত্রোপচারের পর অনেকটা সুস্থ হন খাদিজা। শরীরের বাঁ পাশ স্বাভাবিক সাড়া না দেওয়ায় চিকিৎসার জন্য স্কয়ার থেকে তাকে পাঠানো হয় সাভারের সিআরপিতে।
সিআরপিতে ৩ মাসের চিকিৎসা শেষে শুক্রবার বাড়ি ফেরেন কলেজপড়ুয়া এই তরুণী।
খাদিজার ওপর হামলাকারী বদরুলকে ঘটনাস্থল থেকে ধরে তখনই পুলিশে দেয় জনতা। ঘটনার পরদিন খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। বদরুলকে বিশ্ববিদ্যালয় ও সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
মামলার তদন্তে নেমে খাদিজাকে কোপানোর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। বদরুল নিজেও অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ পরান থানার এসআই হারুনুর রশিদ ৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। সেখানে ৩৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।
গত ২৯ নভেম্বর আদালতে ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়।