প্রসঙ্গত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম রায় ফাঁস মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে খালাস দেয়া হয়। তবে এ মামলায় অন্যতম আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলামকে আদালত ১০ বছর কারাদণ্ড ও দশ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে তাকে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া আদালত মামলার অন্য আসামি সাকা চৌধুরীর ম্যানেজার মাহবুবুল আহসান, ব্যারিস্টার ফখরুলের সহকারী মেহেদি হাসান এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী ও ফারুক হোসেনকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে তাদেরকে আরও একমাস কারাদণ্ড দেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সালাউদ্দিনের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপি সংবাদকর্মীদের দেখান। পরদিন ২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ৪ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন। এরপর ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক মো. শাহজাহান ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।