সংবাদ বিজ্ঞপ্তি- সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে সংহত করতে গিয়ে দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে তছনছ করে ফেলেছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গতকাল এক বিবৃতিতে একথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বিবৃতিতে বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভের পরও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ৮৬ বছর বয়স্ক প্রবীণ নেতা এমকে আনোয়ার যখন কুমিল্লার একটি স্থানীয় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন, তখন তার জামিন বাতিল করে কারগারে পাঠানোর ঘটনা আমাদের মর্মাহত করেছে। দেশের একজন সম্মানিত প্রবীণ নেতার প্রতি সরকারের এ আচরণ চরম অমানবিক, অসহিষ্ণুতার প্রমাণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়।’
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘সরকার যখন জাতীয় প্রেস ক্লাবের মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের যজ্ঞে লিপ্ত, এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আওয়াজকে স্তব্ধ করার জন্যই সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অনেকেই বিশ্বাস করেন।’ বিএনপি চেয়ারপারসন আরো বলেন, অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যখন বিএনপি প্রতিবাদ করছে এবং জনগণের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি থেকে সরে আসছে না, তখন সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসত্য, কাল্পনিক মামলা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করছে, নির্যাতনও চালাচ্ছে। কিন্তু বিচার বিভাগের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে ন্যায় বিচার লাভের আশায় মিথ্যা, সাজানো মামলা কাঁধে নিয়ে জামিন পাওয়ার জন্য যখন বিচারকের কাছে তারা আত্মসমর্পণ করছেন, তখন জামিন না দিয়ে নেতাকর্মীদের একের পর এক কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে। এভাবে দেশে আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত করা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিককেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে খালেদা জিয়া বিবৃতিতে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা সরকারের এমন অসহিঞ্চু মনোভাবের তীব্র নিন্দা করি। আমি সরকারকে দমন-নিপীড়নের পথ পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার আহ্বান জানাই। দমন-নিপীড়ন চালিয়ে বিনা ভোটে এ সরকার ক্ষমতায় থাকার যে দিবাস্বপ্ন দেখছে, তাতে তারা ক্রমাগতভাবেই জনগণের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হচ্ছে। খালেদা জিয়া অবিলম্বে এমকে আনোয়ার, শওকত মাহমুদসহ আটক সব নেতার মুক্তি এবং মিথ্যা, সাজানো মামলায় নেতাকর্মীকে হয়রানি না করার জোর দাবি জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীন দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।