নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের আনুখাদীঘি গ্রামবাসী পুলিশি নির্যাতন ও বর্বরতার বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে। গতকাল মঙ্গলবার আনুখাদীঘির পাড়ে গ্রামবাসী আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাইরুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, আনুখাদীঘি গ্রামে থাকা সরকারি খাস পুকুরটি (যা আনুখাদীঘি নামে পরিচিত) নাচোলের চন্দনা গ্রামের সাইদুর রহমান, বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের ভগ্নিপতি টাইগারসহ কতিপয় ব্যক্তি গত তিন বছর লিজ নিয়ে নির্বিঘেœ মাছ চাষ করে আসছিলেন। চলতি চৈত্রে মাসে লিজের মেয়াদ শেষ হয় এবং নতুন মেয়াদে চন্দনা মৎস্যজীবী সমিতি পুকুরটির লিজ পায়। কিন্তু সাইদুরের করা মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দনা সমিতিকে এখন পর্যন্ত ডিসিআর দেয়া হয়নি।
পরবর্তীতে গত রোববার সাইদুর পুকুরটিতে মাছ মারতে গেলে গ্রামবাসীর সঙ্গে মৌখিক তর্ক হয়। এরপরই সাইদুরের লোকজন বিষয়টি থানায় মোবাইল ফোনে অবহিত করলে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান।
যাওয়ার পরপরই গ্রামবাসীর কারো সঙ্গে কোনো কথা না বলে অতর্কিতভাবে গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশু, নারীসহ বয়স্ক মানুষের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা থানা থেকে আরো ফোর্স ডাকেন।
লিখিত বক্তব্যে আরো জানা যায়, পুলিশ আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে পক্ষাবলম্বন করে ওয়ার্ড যুবলীগ কর্মী টমাসকে অকথ্য নির্যাতন করে তাকেসহ বৃদ্ধ আয়েশ উদ্দিন ও ইব্রাহিমকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ সময় খবর পেয়ে কসবা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান কয়েকজন ইউপি সদস্যসহ পুলিশের কাছে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে চাইলে পুলিশ তাদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করে এবং আটক করার হুমকি দেয়।
ঘটনাটি জানতে পেরে নাচোল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল কাদের থানায় গেলে পুলিশ তার সঙ্গেও অশালীন আচরণ করে বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে পুলিশের এ বর্বরোচিত হামলা ও নির্যাতনের বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান আনুখাদীঘি গ্রামবাসী। একই সঙ্গে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গরিববান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।