মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিষয়ে এটর্নি জেনারেল বলেন, এ ট্রাইব্যুনাল কিভাবে চলবে তা সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, সরকার যদি মনে করে এ ট্রাইব্যুনাল জেলা পর্যায়ে নিয়ে যাবে তবে অন্য কথা বা হাইকোর্টের বিচারপতিদের এখান থেকে নিয়ে অন্য কারো নিয়োগ করবেন কি-না তাও সরকারের ব্যাপার।
উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল অসদাচারণের জন্য সুপ্রিমকোর্টের কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্ত ও তাকে অপসারণের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইন’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ৫মে ওই সংশোধনীকে বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থী বলে রায় দেয় হাইকোর্ট।
বেঞ্চের দুই বিচারপতির দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ১১ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারী বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের রায় গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয়।