১. অ্যাজমা/অ্যালার্জি থাকলে।
২. ঠা-া লাগলে অনেকের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
৩. সাইনোসাইটিস, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগ দেখা দিলে।
৪. ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সি ও পি ডি) অবস্ট্রাক্টীভ স্থীপ অ্যাপনিয়া থাকলে।
৫. ধূমপান পরিহার করুন। পরোক্ষ ধূমপানও শ্বাসকষ্টের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই আপনার ঘরে বা আশেপাশে অন্যদের করা ধূমপান থেকে বিরত রাখুন।
৬. আপনার অ্যাজমা থাকলে অ্যাজমার চিকিৎসা করান।
৭. অ্যালার্জি থাকলে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে এমন বস্তু (যেমন- ধুলাবালি) ও খাবার (জেমন-গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, বাদাম ইত্যাদি) এড়িয়ে চলুন।
৮. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। শরীরের অতিরিক্ত ওজনের কারণে শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পেতে পারে।
৯. ঘর গোছানোর সময় বা বাইরে গেলে ডাস্ট মাস্ক পড়ে বের হবেন।
১০. বেশি পশমওয়ালা পালিত পশু কাছে রাখবেন না।
১১. ঘরবাড়ি সব সময় পরিষ্কার এবং ধুলামুক্ত রাখুন।
১২. অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
আর শ্বাসকষ্ট বা সহজেই হয়রান হয়ে যাওয়া হৃদরোগের একটি লক্ষণ। হৃদপিন্ডের কাজ হল অক্সিজেন ও খাদ্যসমৃদ্ধ বিশুদ্ধ রক্ত সারা শরীরে পৌঁছে দেয়া। যখন সেটা পর্যাপ্ত পরিমাণে পারবে না তখনই শ্বাসকষ্ট বা হয়রান হয়ে পড়তে পারেন। হার্টের তিনটি মূল উপাদান রয়েছে। ১। মাংসপেশি ২। রক্তনালী ৩। ভাল্ব। এর যেকোন একটিতে সমস্যা হলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এরমধ্যে রক্তনালীর ব্লক হল প্রধান কারণ। রক্তনালীতে চর্বি জমে ধীরে ধীরে কিংবা হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যেটাকে আমরা বলে থাকি- হার্ট এ্যাটাক। বিভিন্ন কারনে মাংসপেশি দুর্বল হয়ে হার্ট ফেইলিওর হতে পারে। আমরা বলি কার্ডিওমায়োপ্যাথী। ভাল্ব নষ্ট হবার মূল কারণগুলোর মধ্যে বাতজ্বর, কার্ডিওমায়োপ্যাথী, রক্তনালীর ব্লক এবং কিছু কোলাজেন ডিজিজ দায়ী। এছাড়া হার্টের চারিদিকে পানি জমেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
হার্টের নিজের সমস্যা নয় এমন কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যেমন- ফুসফুসের রোগ, তীব্র রক্তশূন্যতা, থাইরয়েড রোগ, তীব্র ইনফেকশন , পানিশূন্যতা, ডায়াবেটিক জটিলতা, তীব্র সিস্টেমিক রোগ অথবা মানসিক আতঙ্ক থেকেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তা সহজেই একটি ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম এবং বুকের এক্সরে করালেই ধরা পড়বে। তবে তা একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞর মতামতের ভিত্তিতে হতে হবে। চিকিৎসা কী? হৃদরোগ চিকিৎসার সাফল্যের চাবিকাঠি হল সময়। অর্থাৎ সময়মত রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা শুরু করলে বেশীরভাগ রোগ ভাল হয়ে যায়। কতদিন চিকিৎসা করবেন? হৃদপিন্ড সারা জীবন আপনার সেবা করছে, কাজেই আপনারও উচিত তার সেবা করা। কমবেশী সারা জীবন আমাদের হৃদপিন্ডের পরিচর্যা করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং চিকিৎসকের দেয়া কিছু ওষুধ আপনার হৃদপিন্ডকে সতেজ মজবুত এবং ভালবাসায় পূর্ণ করবে!
ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।