অগ্রসর প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের শাসনভার গ্রহণ করে জাতির ললাট থেকে পিতৃহত্যার কলঙ্ক মুছে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ কন্যাই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার মাধ্যমে দেশকে আবার তার পিতার আদর্শের সোনার বাংলায় পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আজ বঙ্গবন্ধুর জীবন, সংগ্রাম ও রাজনীতি নিয়ে নির্মিত প্রমাণ্যচিত্র ‘আরাধ্য বঙ্গবন্ধু’র ভিডিও সিডির মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ডেমনস্ট্রেটর ড. তপন কুমার সরকার প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ’৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশ তার ঠিকানা হারিয়ে ফেলেছিল, খুনীচক্রের বুটের তোলায় গণতন্ত্র নিষ্পেষিত হচ্ছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ সুকন্যা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সেই গণতন্ত্রকে সমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করেন এবং বাংলাদেশকে আবার তার কক্ষপথে ফিরিয়ে আনেন।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্ন পথে প্রবাহিত করেছিল, তারাই আজ যুদ্ধাপরাধের দায় স্বীকার করে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলেছে।
তিনি বলেন, যতদিন এই দেশে জাতীয় পতাকা থাকবে, জাতীয় সঙ্গীত থাকবে, সংবিধান থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুও চিরঞ্জীব স্মৃতি হয়ে মানুষের হৃদয়ে থাকবেন।
পাকিস্তান এখনও বাংলাদেশের সাথে বৈরী আচরণ করে চলেছে উল্লেখ করে এ তথ্য উপদেষ্টা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে ভিন্ন চরিত্রে প্রতিষ্ঠা করতে পাকিস্তান এ দেশেরই একটি মহলকে এবং ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে নিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে চলেছে।
তিনি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, এই অশুভ শক্তিকে পরাভূত করতে আমাদের আবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলতে হবে। দেশ ও জাতিকে রক্ষা এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় শুভ শক্তির ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক পরিষদের কার্যকরী সভাপতি প্রকৌশলী আবু তালেব। আরো বক্তৃতা করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এসএম বাহালুল মজনুন চুন্নু, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ঢাবি জগন্নাথ হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. অসীম সরকার প্রমুখ। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী তপন মাহমুদ।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।