অগ্রসর রিপোর্টরাজনীতির সর্পিল আর কণ্টকময় পথ মাড়িয়ে শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু, আর দেশকে সাজিয়ে তুলছেন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এ দেশের ভৌগোলিক মুক্তির রোল মডেল, আর শেখ হাসিনা এ দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির রোল মডেল।’
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। পরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাঙালির আস্থার সোনালি দিগন্ত, প্রেরণার দীপ্যমান শিখা, স্বপ্নময় অর্জনের কাণ্ডারি হিসেবে। ৭৫ পরবর্তী সময়ে এ দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে সফল ডিপ্লোমেটিক শেখ হাসিনা। গত ৪৫ বছরে সফল রাজনীতিবিদের নাম শেখ হাসিনা।’
মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জেনারেল জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন। তার নেতৃত্বেই আজ বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে। তিনি ফিরে না এলে তা সম্ভব হতো না। ’
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সমৃদ্ধিতে আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়। শেখ হাসিনা আজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বনেতাদের কাতারে, মর্যাদার আসনে। বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় তার দক্ষতা এবং দূরদর্শিতার প্রশংসা করে যাচ্ছে বিশ্ব সম্প্রদায়। সীমান্ত খুলে দিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিক নেতৃত্বের এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা। স্বীকৃতি পেয়েছেন মাদার অব হিউম্যানেটির। তিনি দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন রাজনীতির সর্পিল আর কণ্টকময় পথ মাড়িয়ে। তিনি নেতৃত্বে আছেন বলেই ৭৫-এর খুনিদের বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। জাতি আজ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি নিছক কোনও সরকার প্রধান নয়, তিনি একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক, যার ভাবনায় পরবর্তী নির্বাচন নয়, তার ভাবনার আকাশজুড়ে পরবর্তী জেনারেশন। তাই গ্রহণ করেছেন শত বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা। এ দেশের রাজনীতিতে সততা আর স্বচ্ছতার অনুপম উদাহরণ বঙ্গবন্ধু পরিবার। সরকার প্রধান হয়েও অতি সাধারণ জীবনযাপন তাকে করে তুলেছে অসাধারণ একজন। আজকের এই দিনে আপনাকে জানাই সশ্রদ্ধ সালাম এবং জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আপনিই এ দেশের এগিয়ে যাওয়ার অফুরন্ত প্রেরণা, সাহসের বর্ণিল ঠিকানা।’
উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, থাকবে বঙ্গোপসাগরের কোলে পদ্মা মেঘনা যমুনা কর্ণফুলীর পলি বিধৌত বদ্বীপ বাংলা। বঙ্গবন্ধুকন্যা আছেন বলেই দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান হয়েছে। শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে সীমান্ত সমস্যার, বিনিময় হয়েছে যুগ যুগ ধরে ঝুলে থাকা ছিটমহল। তিনি আছেন বলেই বাংলাদেশের সমান সুনীল সমুদ্রসীমা জয় হয়েছে। দ্বার খুলেছেন সম্ভাবনাময় ব্লু-ইকোনমির। শেখ হাসিনা এক আজন্ম উন্নয়ন যোদ্ধার অপর নাম, স্বপ্নবান নেতৃত্ব। হতাশ ও অসহায় প্রাণে যিনি সঞ্চার করেন জীবনের জয়গান, বপন করেন স্বপ্নের বীজ। শেখ হাসিনা বাঙালির সাহসের সোনালি দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছেন, বাড়িয়ে দিয়েছেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। শেখ হাসিনা আজ বিশ্বসভায় নতুন উচ্চতায়।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ডক্টর আবদুর রাজ্জাক, আবদুল মতিন খসরু, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।