মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে রাজধানীমুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। কিন্তু শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাতায়াতের বাস সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৩০ জুন) বিকাল থেকেই দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করলেও গাড়ি না থাকায় গৌন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। সকাল থেকে লঞ্চ, স্পিডবোর্ট ও ফেরিতে করে পদ্মা নদী পার হয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে শুরু করেন যাত্রীরা, বিকালে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায়।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার বিকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় গণ পরিবহনের অপেক্ষায় আছে কয়েক হাজার মানুষ। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেয়েছি, ঘাটে গিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
একসাথে অতিরিক্ত যাত্রী আসতে শুরু করায় বিকাল থেকে গণপরিবহন সঙ্কটের কবলে পড়ে রাজধানীমুখী যাত্রীরা।
মিরপুরগামী যাত্রী আমজাদ হোসেন রাজু বলেন, ‘মাদারীপুর থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাট হয়ে লঞ্চে করে শিমুলিয়ায় আসি। এসেই আরেক বিপাকে পড়ি। নির্ধারিত ভাড়ার থেকে অতিরিক্ত ভাড়া ও দীর্ঘ সারিতে দাড়িয়ে টিকিট নিতে হচ্ছে। বিকাল ৪টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি।’ঘাটে পর্যাপ্ত গাড়ি না থাকায় সীমিত যানবাহন দিয়েই চলছে দূরপাল্লার যাত্রা। এর সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, স্বদেশ, গ্রেটবিক্রমপুর, গাংচিল, প্রজাপতি, ঈলিশ, বিআরটিসি, গুনগুন, আরামসহ যাত্রীবাহী বাসগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। নির্ধারিত ভাড়া থেকে তারা ৫০ টাকা বেশি নিচ্ছে। ইলিশ পরিবহনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, ঢাকা থেকে যাত্রীশূন্য বাস নিয়ে শিমুলিয়ায় আসতে হচ্ছে। গাড়ির তেল খরচ ও টোল ভাড়া জন্য অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।