ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে উত্তপ্ত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য সময় প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য। তিনি বলেন, ২১তম ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনকে গতকাল শুক্রবার রাতে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কার আমি করতে পারি। কিন্তু টার্ম বা স্থায়ী বহিষ্কার একাডেমিক কাউন্সিল করতে পারে এবং ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের ব্রিফিং করতে হয়। আর এই ব্রিফিংয়ের জন্য তদন্ত প্রতিবেদন লাগবে।
তদন্ত ছাড়া শাস্তি দিলে তা টিকবে না জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ছাড়া শাস্তি দিলে তা কোর্টে টিকবে না। সুতরাং তদন্ত রিপোর্ট লাগবে। আবার তদন্তের সময় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। সেখানে একটা সময় লাগবে। সুতরাং আমাকে নিয়ম ও আইনের মধ্যেই চলতে হবে।
সত্য প্রসাদ বলেন, আমরা বলেছিলাম তদন্ত কমিটি গঠন করব। ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছি। ৮ তারিখের মধ্যেই প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।
এ সময় পরীক্ষা বর্জন নিয়েও কথা বলেন উপাচার্য। বলেন, তারা (শিক্ষার্থীরা) পরীক্ষা বর্জন করেছে। স্থগিতের আবেদন করেনি। করলে আমরা বিবেচনা করতাম। তারা এখানে ভুল করেছে। পরীক্ষা হয়েছে, তারা আসেনি হলে। অনুপস্থিত ছিল। এখন আবার পরীক্ষা দিতে তাদের আবেদন করতে হবে। না হলে তাদের এফ গ্রেড (ফেল) আসবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অযৌক্তিক বলছি না আমি। তারা আমাকে একটু আগে দাবি দিয়ে গেছে। কালও দেয়নি। এখন তদন্ত কমিটি সব করবে। তারা সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে, যাচাই করে প্রতিবেদন দেবে। সেখানে যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফলে সবকিছু করতে সময় প্রয়োজন।