আজ রবিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শীতকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি আনন্দিত। এই প্রতিযোগিতায় যারা অংশগ্রহণ করেছে সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। জাতীয় পর্যায়ে যারা বিজয়ী হয়েছে তাদেরকে জানাই আন্তরিক অভিননন্দন। আশা করি ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার প্রতি আরো মনযোগী হবে।
তিনি বলেন, খেলাধুলার প্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবসময়ই আগ্রহ ছিল। তার প্রচেষ্টায় ১৯৭২ সাল থেকেই খেলাধুলার নানা প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে আমরা নানা খেলাধুলার প্রতি জোর দেই। ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় এসে আমরা দেশীয় নানা খেলার প্রতি মনোযোগী হই। আমাদের প্রচেষ্টায় দেশের নানা ক্রীড়া বিভাগ এগিয়ে গিয়ে বিদেশের মাটিতেও সাফল্যের অবদান রেখেছে।
তিনি বলেন, খেলাধুলা, সংগীতচর্চা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, লেখাপড়া পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শিশুদের মেধা-মনন বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়। আজকে আমাদের প্রতিবন্ধীরা তারাও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে অনেক পুরস্কার নিয়ে আসছে।
শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের আরো মনযোগী হতে হবে। সারা দিন যদি পড় পড় বললে তা কারোরই ভালো লাগে না। পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলাও থাকতে হবে। সাংস্কৃতিক চর্চায়ও থাকতে হবে।
১৬ হাজার ১০১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭ হাজার ৬১১ মাদরাসা থেকে ৭টি খেলায় প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। ১৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮০০ প্রতিযোগী জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন প্রমুখ।