অগ্রসর রিপোর্ট : বাংলাদেশের শিশু চিকিৎসার পথিকৃৎ ও জাতীয় অধ্যাপক এম আর খানের প্রথম জানাজা আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা ও চিকিৎসকেরা তাঁর মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে। সেখানে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সবার শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নিয়ে আসা হয় তাঁর মরদেহ। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে তাঁকে সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
জাতীয় অধ্যাপককে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে দুপুর ১২টার দিকে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
এ সময় মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘দেশকে তিনি যা দিয়েছেন, তার তুলনা নেই। তিনি শুধু একজন মহান চিকিৎসকই ছিলেন না, তিনি একজন মহান সমাজসেবকও ছিলেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও একুশে পদক পাওয়া এই ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে আমরা সবাই শোকাহত। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁর যে অবদান, যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের মানুষ তা স্মরণ করবে।’
এম আর খানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমরা একজন দেশপ্রেমিক ও গুণী মানুষকে হারালাম।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘তাঁর ৮৮ বছর বয়সেও তিনি ছিলেন চির কিশোর, চির তরুণ।’
এ সময় ফুল দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলা একাডেমির পরিচালক শাহিদা খাতুন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ইকবাল আর্সলান প্রমুখ।
শ্রদ্ধা জানাতে এসে ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি তাঁর ছাত্র ছিলাম। একটা মানুষের জীবনে এত দিক, মানুষ হিসেবে তাঁর গুণগুলো অনন্য।’
বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও চিকিৎসকদের সংগঠনও শেষবারের মতো এম আর খানকে শ্রদ্ধা জানাতে আসে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত শ্রদ্ধা জানাতে এসে এম আর খানের স্মরণে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নিয়োজিত কোনো প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করার প্রস্তাব দেন।
এ ছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজশিক্ষক সমিতি, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট, নিউরোস্পাইন সোসাইটি অব বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতক্ষীরা জেলা কল্যাণ সমিতি, কুষ্টিয়ার মানবশক্তি উন্নয়ন কেন্দ্রসহ অসংখ্য সংগঠন এম আর খানকে শ্রদ্ধা জানায়।