এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ত্রাণ এসে পৌঁছায় কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে। এর মধ্যে চাল, ডাল, কফি, চিনি, খাদ্যশস্য, ভোজ্য তেল, কম্বল ও চিকিৎসা সামগ্রীসহ প্রায় ৩৫ প্রকার পণ্য রয়েছে।
ত্রাণ বিতরণ সমন্বয় কমিটির প্রধান ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাইফুল ইসলাম মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আজ বুধবার প্রাথমিকভাবে দেড়শ’ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ত্রাণ পাবে রোহিঙ্গাদের ১৫ হাজার পরিবার। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার পরিবার টেকনাফে এবং সাড়ে ৯ হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছে উখিয়ায়।
মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল এসময় অনেকেই রোহিঙ্গা ছেলে মেয়েদের মধ্যে লজেন্স সরবরাহ করতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়ে আদর সোহাগ করছে। এসময় পার্লামেন্ট সদস্য আব্দুল আজিজ বিন আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, তাদের আনিত ত্রাণ সামগ্রী রোহিঙ্গাদের মাঝে নিজ হাতে বিতরণ করতে পেরে খুব আনন্দিত।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্ত পুলিশের ১২ সদস্য নিহত হয়। ওই হামলার জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করে আসছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর থেকে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।