অগ্রসর রিপোর্ট : যুবলীগের কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে শামীমকে আটক করেছে র্যাব। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নিকেতনের ১১৩ নম্বর বাসা থেকে শামীমকে আটক করে র্যাব। এসময় তার ৭ দেহরক্ষীকেও আটক এবং তাদের অস্ত্রগুলো জব্দ করা হয়।
পরে সেখান থেকে শামীমকে সাথে নিয়ে তার মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিকেবি অ্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের কার্যালয়ে সকাল ১১ টায় তল্লাশি শুরু করে র্যাব।
অভিযান প্রসঙ্গে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, “অভিযানে ১৬৫.২৭ কোটি টাকার এফডিআর জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪০ কোটি টাকা শামীমের মায়ের নামে রয়েছে। বাকি টাকা তার নিজের নামে রয়েছে।”
“এফডিআর ছাড়াও নগদ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ২৩টি ব্যাংকের ৮৩টি চেকবুক জব্দ করা হয়”, যোগ করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
শামীমের কার্যালয় থেকে একটি অস্ত্রও জব্দ করেছে র্যাব। ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, “জব্দ করা অস্ত্রের বৈধতা থাকলেও বিভিন্ন অবৈধ কাজে এটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” এছাড়াও অভিযানে কয়েক বোতল মদ জব্দ করা হয় বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
শামীমের ব্যক্তিগত সহকারী দিদারুল ইসলাম জানান, শামীমের এই কোম্পানি দেশের একটি প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিডাব্লিউডির তালিকায় রয়েছে। তিনি বলেন, “জব্দ করা সব টাকা বৈধ। বর্তমানে আমাদের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্যই টাকাগুলো অফিসে এনে রাখা হয়েছিল।”
প্রসঙ্গত, গত বুধবার অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানের তার নিজ বাসা থেকে আটক করে র্যাব।