লিভার শরীরকে দূষণ মুক্ত করলেও লিভারকে দেখার জজন্য কেউ নেই। তাই তো এই অঙ্গটিকে সচল ও সুস্থ রাখতে আমাদেরকেই একটু বেশি সচেতন হওয়া উচিত। আর সেই কারণই এমন কিছু পানীয়র উপর আমাদের ভরসা রাখতে হবে যা লিভারকে সুস্থ রাখতে দারুন কাজে আসে।
লেবুর পানি : লিভারকের ভালো রাখতে এটি আরেকটি কার্যকরি পানীয়। লেবুর পানিতে লিভারের জন্য উপকারি বেশ কেয়কটি নিউিট্রয়েন্টস থাকে। তাই এই পানীয় যদি রোজ রাতে শোয়ার আগে খাওয়া যায় তাহলে লিভার পরিষ্কার থাকে।
ক্যামোমিল চা : এই চায়ে প্রচুর পরিমাণে সেসকুইটারপেন ল্যাকটোন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে, যা লিভারকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার প্রক্রিয়াটিকে ঠিকভাবে চালাতে সাহায্য করে।
পিপারমেন্ট টি : রাতে একটু বেশি খাওয়া হয়ে গেছে? কেমন হাঁসফাঁস করছে শরীরটা। চিন্তা নেই। এক কাপ পিপারমেন্ট চা খেয়ে নিন না, দেখবেন সমস্যা কেমন কমতে শুরু করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক কাপ এই চা খেলে হজম যেমন ভালো হয়, তেমনি লিভারও চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
যবের চা : এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোটিন থাকে। ফলে এই বিশেষ ধরনের চা নিয়মিত পান করলে লিভারের স্বাস্থ্য খুব অল্প দিনেই ভালো হতে শুরু করে।
সেকিসেন্ড্রা বেরির চা : আপনি ভেবে পাচ্ছেন না কীভাবে বাড়ি বসেই লিভারকে সুস্থ রাখা যায়? চিন্তা নেই। আজ থেকেই পান করা শুরু করে দিন এই বিশেষ পানীয়টি। ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া চলাকালীন যেসব ক্ষতিকর উপাদানগুলি তৈরি হয় শরীরের মধ্য়ে সেগুলিকে ধ্বংস করে লিভারকে ভালো রাখতে সাহায্য় করে সেকিসেন্ড্রা বেরির চা।
জুজুবা ফল : রক্তকে পরিষ্কার রেখে লিভারকে ভালো রাখতে সাহায্য করে এই ফলটি। তাছাড়া এতে এমন কিছু উপাদান আছে যা লিভারের ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে।
লোটাস চা : স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি কমানোর পাশাপাশি লিভারকে ভালো রাখতে দারুন কাজে দেয় এই পানীয়টি।
গোলাপ চা : এই চা রোজ খেলে লিভার তো ভালো থাকেই, সেই সঙ্গে স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশন কমিয়ে রাতের ঘুম যাতে ভালো হয় সেদিকেও খেয়াল রাখে এই পানীয়।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।