বান্দরবানের রুমার সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বন্দি থাকা অবস্থায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করেছে, কখনো কখনো চোখও বেঁধে রেখেছে। যদিও ভুক্তভোগীর সাহসিকতা এবং শক্ত মনোবলের কারণে সন্ত্রাসীরা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। এছাড়া, র্যাবের কৌশল কাজে লেগেছে। তারা ম্যানেজারকে মোটরসাইকেলে করে নিরাপদে ফিরিয়ে দিয়ে গেছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। শুক্রবার সকাল ১১টায় র্যাবের মধ্যস্থতায় ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার এবং র্যাবের পরবর্তী আভিযানিক কার্যক্রম নিয়ে ব্রিফিং করা হয়।
খন্দকার আল মঈন জানান, কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা ১০ থেকে ১২ জন ছিল। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল, সবই লুণ্ঠিত। অপহরণের আগে তারা ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে এক কোটি টাকা চায়। তাহলে তাকে ছেড়ে দেবে বলে জানায়। তারা ভল্টের চাবি চায়। কিন্তু ম্যানেজার অত্যন্ত সাহসী; তিনি কৌশলে সব এড়িয়ে যান।
সন্ত্রাসীরা ব্যাংক ম্যানেজারের ল্যাপটপ নিয়ে সাইবার হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে বলেও ব্রিফিং এ দাবি করেন খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ব্যাংকে হামলার পর তারা ম্যানেজারের ল্যাপটপ নিয়ে গিয়েছিল। তারা ল্যাপটপ খুলে চেষ্টা করেছিল সাইবার হামলা চালানোর। কিন্তু ম্যানেজারের কৌশলের কারণে তারা সেটা পারেনি।
এমন অবস্থায় আজ থেকে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করার কথা জানান এ র্যাব কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও কিছু কৌশল অবলম্বন করেছি, যেগুলো এখনও চলমান আছে। তারা গত তিন-চার দিনে বেশ কয়েকটি অপরাধ সংঘটিত করেছে। তারা একই সময়ে অন্য ব্যাংকে এবং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছে। তাদের বেশকিছু গোষ্ঠী আছে, যারা এক সঙ্গে হামলা চালায়।