অগ্রসর রিপোর্ট :মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো সংঘাতে যায়নি বাংলাদেশ। তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা অন্যায় করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব নয়, আলোচনার মাধ্যমেই আশ্রিত ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে চায় বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুর সেনানিবাসে ২০২০-২১ কোর্সের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধনামন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মুজিববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার, এ দেশে একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না। প্রতিটি মানুষের ঠিকানা হবে। প্রতি ঘরে ঘরে আলো জ্বলবে। প্রতিটি মানুষ শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেবা পাবে। উন্নত জীবন পাবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে। প্রতিটি গ্রাম শহরে রূপান্তরিত হবে। প্রত্যেকে গ্রামে বসে নাগরিক সুবিধা পাবে। সেভাবেই আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আপনাদের জীবনের একটি বিশেষ দিন। এ দিনটির জন্য দীর্ঘ ১১ মাস আপনাদের কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায় করতে হয়েছে। আপনারা সমর জ্ঞান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে উচ্চতর জ্ঞান লাভ করেছেন। আমার বিশ্বাস এ প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান, আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন ও নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। কারণ মনে রাখতে হবে, পৃথিবীটা একটা ভিলেজ। এখানে কেউ এককভাবে চলতে পারে না। সবাইকে নিয়ে চলতে হয়। এজন্য জ্ঞানের পরিধি অনেক বিস্তৃত করতে হয়।
তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের গ্র্যাজুয়েটগণ তাদের অর্জিত জ্ঞান, ইচ্ছাশক্তি ও অঙ্গীকারের মাধ্যমে দেশকে একটি স্থিতিশীল, টেকসই, আত্মনির্ভরশীল, সর্বোপরি গৌরবময় অবস্থানে নিয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে, এদেশ লাখো শহীদদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন করেছি। আমরা দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে ২০২১-২০৪১ পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। যার মাধ্যমে দেখতে চাই, কেমন হবে ৪১-এর বাংলাদেশ। এটি বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হবে। আজকের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা কর্মকর্তারাই আমার ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সৈনিক হবে। তারা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে কাজ করবে।