অগ্রসর রিপোর্ট : ইরানী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জাপানে তার দুই দিনের সফর শনিবার শেষ করেছেন। সফরকালে তিনি টোকিওর কাছে মার্কিন অবরোধের চাপে থাকা ইরানের অর্থনীতির জন্যে সহায়তা চেয়েছেন।
গত দুই দশকে এই প্রথম ইরানের কোন রাষ্ট্র প্রধান জাপান গিয়েছেন। এদিকে, এ সফরের আগে ইরানে জ্বালানী মূল্য বাড়ানোর প্রতিবাদে তীব্র বিক্ষোভ হয়। তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির কারণে দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক অবরোধ অব্যাহত রাখায় এর অর্থনীতি চাপের মধ্যে পড়ে।
টোকিও’র একটি হোটেলে জাপানের ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দের এক বৈঠকে রুহানি মার্কিন অবরোধের সমালোচনা এবং জাপানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আরো জোরদারের আশা করেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জাপানের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে এ খবর জানায়।
ইরানের সঙ্গে করা বহুদেশীয় পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র গত বছর বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর অবরোধ পুনরায় আরোপ করে।
শনিবার এনএইচকে’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি অবরোধের তীব্র সমালোচনা করে একে একতরফা ও অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করেন।
রুহানি শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময়ে তিনি ইরানের অর্থনীতিকে সহায়তা করতে জাপান ও অন্যান্য দেশের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকের আগে রুহানি এক তরফা ও অযৌক্তিকভাবে ওয়াশিংটনের চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সমালোচনা করে বলেন, আমি আশা করি জাপান ও অন্যান্য দেশ চুক্তি রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও জাপান ইরানের সাথে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখছে। অ্যাবে প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সেতু তৈরির চেষ্টা করছেন। তিনি উভয় দেশের উত্তেজনা কমাতে জুন মাসে তেহরান সফর করেন।
জাপান সরকারের একজন কর্মকর্তা জানান, উভয় নেতা বৈঠকে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখতে সম্মত হয়েছেন।
জাপান ইরানের পরিশোধিত তেলের বৃহৎ ক্রেতা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ মেনে দেশটি ইরান থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে।