এছাড়া আপত্তিকর কোনো ছবি মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইলের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন এই সানি। পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের পর ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াহিয়া বলেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় কথার গুরুত্ব কম। মোহাম্মদপুর থানায় আরাফাত সানিকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার বাদী ওই নারীর মোবাইল ফোন সেট আলামত হিসেবে তারা জব্দ করেছেন। সেটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠানো হয়েছে। মোবাইলে কে ছবি পাঠিয়েছেন, কীভাবে পাঠিয়েছেন, সব জানা যাবে।
গতকাল রবিবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা এক নারীর মামলায় আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ তার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালতে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
মামলা অভিযোগ, আরাফাত সানির সঙ্গে ওই নারীর ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বিয়ে হয়। গত বছরের ১২ জুন আরাফাত দুজনের একান্ত ব্যক্তিগত ছবি ও নারীর একক আপত্তিকর ছবি মেসেঞ্জারে পাঠান। ছবি পাঠিয়ে আরাফাত সানি ওই নারীকে হুমকি দেন। পরে আবার ২৫ নভেম্বর আরাফাত ওই নারীকে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করতে বলে হুমকি দেন।
আরাফাতের আইনজীবীরা গতকাল আদালতে বলেছিলেন, তিনি (আরাফাত) ওই নারীকে বিয়ে করেননি। এর পরপরই ওই নারীর আইনজীবীরা আদালতে বিয়ের একটি কাবিননামা দাখিল করেছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াহিয়া বলছেন, কাবিননামার সত্যতা যাচাই হবে।