অগ্রসর প্রতিবেদক : ভাড়াটিয়াদের ব্যক্তিগত তথ্য বাড়ির মালিকদের মাধ্যমে নিতে কোনো বাধা নেই ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)। এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার সকালে এ আদেশ দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এর আগে ৮ মার্চ ভাড়াটিয়াদের ব্যক্তিগত তথ্য বাড়ির মালিকদের মাধ্যমে পুলিশের কাছে জমা দেওয়ার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি শেষ হয়। ওইদিন শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রবিবার আদেশের দিন ধার্য করেন। সেই অনুযায়ী একই বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সম্প্রতি ডিএমপির পক্ষ থেকে এক পৃষ্ঠার ফরম ভাড়াটিয়াদের পূরণ করতে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে ভাড়াটিয়ার ছবির পাশাপাশি তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, ফোন নম্বর, জন্ম তারিখসহ বাসার বাসিন্দা, গৃহকর্মী ও ড্রাইভারের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও পরিবারের সদস্য সংখ্যা এবং প্রত্যেকের বয়স ও মোবাইল নম্বরও চাওয়া হয়েছে এই ফর্মে। ডিএমপির লোগো সংবলিত ওই ফরমের ফটোকপি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আবার তা সংগ্রহ করছেন পুলিশ সদস্যরা। ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে এ সব তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম থেকে পুলিশকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে ১ মার্চ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর কমিশনারকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নোটিশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চাওয়া হলেও কোনো জবাব পাননি ওই আইনজীবী। পরে ভাড়াটিয়াদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ৩ মার্চ ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট আবেদন করেন। ৮ মার্চ ওই আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারি আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সজল।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।