স্টাফ রিপোর্টার: নেপালের রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শ্রেষ্ঠ আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে নেপালী রাষ্ট্রদূত নেপালে ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়ে উদ্ধার অভিযান ও পুনর্গঠনে সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বাসস’কে এ কথা জানান।
হরি কুমার শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে স্বাক্ষরিত বিবিআইএন চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এই চুক্তি চার দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত নেপালে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশে তার চার বছরের মেয়াদকালে সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বিবিআইএন আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা করবে আশা করে তিনি বলেন, এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
এরপর বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক খালেদা একরাম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে ভিসি বুয়েটের কর্মকান্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বাসসকে এ কথা জানান।
খালেদা একরাম রাষ্ট্রপতিকে জানান, বায়ো-মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ খোলা হয়েছে। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে এটি ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, বুয়েটের লাইব্রেরী ডিজিটাল করা হয়েছে।
ভিসি বুয়েটে একটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার ইউনিট স্থাপনের জন্য রাষ্ট্রপতির সহায়তা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সংক্রান্ত কর্মকান্ড বাড়াতে ভিসি’র প্রতি আহবান জানান।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।