রাবি প্রতিনিধি : নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের চাপে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (রুয়েট) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার প্রফেসর ড. মোশররফ হোসেন পদত্যাগ করেছেন। শনিবার রুয়েটে অনুষ্ঠিত ৮০ তম সিন্ডিকেট সভায় তিনি এই পদত্যাগের ইচ্ছার কথা জানান। তবে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা-গবেষণা কাজে সময় দিতেই রেজিস্টার পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছি, পদত্যাগ করিনি।’ পরে রোববার দুপুরে ভিসি প্রফেসর রফিকুল আলম বেগের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১৯, ২০ ও ২১ এপ্রিল রুয়েটে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একটি পদের বিজ্ঞপ্তি দিলেও এক একটি পদে ৪-৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগও উঠেছে। মূলত অনিয়মের বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলের সাথে ঝামেলার কারণে তিনি পদত্যাগ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ‘নিয়োগের বিষয়ে রেজিস্টার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা পছন্দের প্রর্থীদের কার্ড ইস্যু ও নিয়োগের ব্যাপারে বিভিন্নভাবে একাধিক ব্যক্তিরা তাকে হুমকি-ধামকি দিয়েছে। যার ফলে তিনি নিজের মর্যাদা ধরে রাখতে এই পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
তাছাড়া শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় প্রশাসনের এসব ঝামেলা মোকাবেলা করা তার পাক্ষে সম্ভব নয় বলে তিনি পদত্যাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তারা।’ অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, ‘নিজের পছন্দের ব্যাক্তিকে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হয়েই রেজিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।’
রাজনৈতিক চাপে পদত্যাগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার প্রফেসর ড. মোশররফ হোসেন বলেন, পদে থাকলে বিভিন্ন মানুষ ফোন দিলে একটু চাপ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে মূলত এটা কোন কারণ নয়, আমি শিক্ষক মানুষ, গবেষণা করাই আমার কাজ।
তার মধ্যেই শান্তি খুঁজে পাই। যার কারণে এই পদ থেকে আমি শনিবার সিন্ডিকেটে সকলের সামনে অব্যহতি চেয়েছি। তবে তিনি পদত্যাগের কথাটি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ভিসি স্যারের কাছে অব্যহতি চেয়েছি। পদত্যাগ করিনি।’
বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রুয়েট ভিসি প্রফেসর ড. মো. রফিকুল আলম বেগের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে রুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর কামরুজ্জামান সরকার বলেন, ‘আমি এবিষয়ে কিছু জানি না।’