প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
তিনি বলেন, ১৯৮২, ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালের যৌতুক আইন একত্রিত করে নতুন এ আইনটি করা হয়েছে। আইনে যৌতুকের সংজ্ঞায় বলা হয়েছ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে যৌতুকের যে সংজ্ঞা দেওয়া আছে এখানেও সেটা বলবৎ থাকবে। বর বা তার পিতা বা মাতা কিংবা বরপক্ষ কনেপক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করলে তারা এ আইনের আওতায় পড়বেন।
তিনি আরো বলেন, আইনে বলা হয়েছে, কেউ যদি যৌতুক দাবি করে এবং কনেকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে তাহলে তার সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। তবে জরিমানা আদালত নির্ধারণ করবেন।
আইনে আরো বলা হয়েছে, যৌতুকের দাবিতে কনের মারাত্মক অঙ্গহানি হলে নির্যাতনকারীকে ১২ বছর কারাদণ্ড ও জরিমানা বা উভয় দণ্ড, সাধারণ অভিযোগ হলে তিন বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
এ ছাড়া এই আইনে আসামির এক থেকে ৫ বছরের জেল এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবেন আদালত। তবে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে অভিযোগকারীর এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যৌতুকের মামলায় ভুক্তভোগীর ক্ষতি বিবেচনায় বরকে অর্থদণ্ড এবং কনের আমৃত্যু ভরণপোষণ করার দায়িত্ব নেয়ার রায় দিতে পারবেন আদালত।