ওজন কমাতে গ্রিন টির গুণের কথাও কারও অজানা নয়। তবে শুধু ওজন কামতেই নয় আটকে থাকলে চলবে না। ভেষজ চায়ের রয়েছে আরও অনেক স্বাস্থ্যগুণ। জেনে নিন ভেষজ চায়ের এমনই কিছু উপকারী তথ্য।
আদা চা : যে কোনো ব্যথা কমাতে উপকারী আদা চা। গ্লাইসেমিক রেট কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে আদা চা।
তুলসী চা : বহু যুগ ধরে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে তুলসী। আর এ সময়ে অধিকাংশ চায়ের দোকানের পাওয়া যায় তুলসী চা।
পেপারমিন্ট চা : হজমের সমস্যা, পেটের অস্বস্তি নিমেষে দূর করতে দারুণ কার্যকর মেন্থল চা বা পেপারমিন্ট টি।
বিছুটি : নামটা শুনেই অবাক হলেন? এই পাতার কিন্তু অনেক গুণ। ক্লোরোফিলে পরিপূর্ণ হওয়ায় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেমন সাহায্য করে বিছুটি চা, তেমনই এর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট কিডনি পরিষ্কার রাখতেও ভাল কাজ করে।
দিনা চা : পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে ভোগা মহিলাদের শরীরে টেস্টোটেরনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে পুদিনা চা বা স্পেয়ারমিন্ট টি।
ল্যাভেন্ডর চা : এই ফুল শুধু দেখতেই সুন্দর তা ন, এর এসেনশিয়াল অয়েল উত্কণ্ঠা, ব্যথা, মাইগ্রেন ও স্ট্রেসের সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত উপকারী।
উৎকণ্ঠায় ভোগার সমস্যায় উপকার পাবেন তুলসী চা খেলে। মস্তিষ্কের কোষ সুস্থ রাখতেও কার্যকর তুলসী।
ড্যানডেলিয়ন টি : এই বিশেষ মূলক অগ্ন্যাশয়, লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগলেও খেতে পারেন ড্যানডেলিয়ন চা।
ক্যামোমাইল চা : সুন্দর গন্ধের জন্য মুড ভাল করতেই খাওয়া হয় ক্যামোমাইল টি। তবে পেটের অস্বস্তি, আলসার, ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব কাটাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
দারুচিনি চা : অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ রয়েছে সিনামন টি বা দারচিনি চায়ের। টাইপ টু ডায়াবেটিস, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের সমস্যায় ভালো কাজ দেয় দারচিনি চা।
লেমন বাম টি : মিষ্টি লেবুর মতো সুগন্ধ এই পাতার। হজমের সমস্যা দূরে রাখার পাশাপাশি নার্ভের সমস্যা দূরে রাখে। স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
যষ্টিমধু চা : খাদ্যনালি ও পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে যষ্টিমধু চা। এলডিএল অক্সিডশন রুখে হার্টের সমস্যা দূরে রাখে, টেস্টোটেরনের সঠিক মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই চা।