স্টাফ রিপোর্টার: মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীরাও যে ধর্মান্ধতার মাধ্যমে আকর্ষিত হয়েছে তা তুলে ধরার জন্যই ‘বাঙালি সমাজ ও সাহিত্যে সাম্প্রদায়িকতা এবং মৌলবাদ’ গ্রন্থটি রচনা করতে অনুপ্রাণিত হয়েছি। বইটির প্রকাশনা উৎসবে অনুভূতি প্রকাশ করতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. নূহ-উল-আলম লেনিন এমনটাই বলেন।
বাংলা একাডেমীতে রবিবার সন্ধ্যায় বইটির প্রকাশনা উৎসব হয়।
লেখক নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, বিশ্বের ৫টি ধর্মের উৎস ও বিকাশের মধ্যে যে মৌলবাদ রয়েছে তা গবেষণা করে এই বইটি রচনা করেছি। প্রতিটি ধর্মের মধ্যেই মৌলবাদ রয়েছে।
তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিষবাষ্পের থেকে বাংলাদেশের অবস্থা উত্তোরণের উদ্দেশ্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই বইটি রচনা করেছি। এগুলো মানব সভ্যতার পুরনো রোগ বা ব্যাধি। হাজার বছর ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে সংঘাত, হত্যা, দেশবিভাগের মতো ঘটনা ঘটেছে এই মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার কারণে।”
অনুষ্ঠানে ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন বলেন, “দেশে ধর্ম থাকলে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ থাকবেই। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের উৎস হচ্ছে মাদ্রাসা। আর এই মাদ্রাসার পিছনে আওয়ামী লীগ সরকার বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি খরচ করেছে।”
তিনি বলেন, “আসলে আলীয়া মাদ্রাসায় যা পড়ানো হচ্ছে- তার বেশির ভাগই রাষ্ট্রবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক। আলীয়া মাদ্রাসার পৌরনীতি বইয়ে লেখা আছে- বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও অসাম্প্রদায়িকতা কুফরি মতবাদ।”
এই ইতিহাসবিদ বলেন, “শুধু জামায়াতকে দুষলেই হবে না। বিএনপি জামায়াত একই জাতের দুই রূপ। বিএনপি সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বড় উৎস।”
এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান এর সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক মোহাম্মদ জমির, অধ্যাপক ড. আফসার আহমদ প্রমুখ।