গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা চলছে। স্থানীয় সময় বুধবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে নিজেদের নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করে ইসরায়েল। এখন তারা হামাসের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে। খবর আল জাজিরার।
তবে এরমধ্যে বুধবার (৩ এপ্রিল) জেরুজালেম দিবসের বক্তবে হামাস প্রধান ঈসমাইল হানিয়া জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির জন্য তারা যে শর্ত দিয়েছেন সেটিতে এখনো অনড় রয়েছেন। যুদ্ধবিরতি যদি হতে হয় তাহলে তাদের শর্ত অনুযায়ী হতে হবে।
এ ব্যাপারে হানিয়া বলেছেন, আগ্রাসন বন্ধে যে আলোচনা চলছে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েল সেটি অব্যাহতভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে। দখলদাররা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে তাদের আগ্রাসন চলবে। আর নেতানিয়াহু এবং তার সাথে যারা রয়েছে তাদের লক্ষ্য হল যতদিন সম্ভব ক্ষমতায় থাকা।
তিনি আরও বলেছেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি আমরা আমাদের স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইসরায়েলের সব সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া, গাজার সব মানুষকে তাদের বাড়িঘরে ফিরতে দেওয়া, আমাদের মানুষের সব প্রয়োজনীয়তা মেটানো, গাজাকে পুনর্গঠন, অবরোধ তুলে নেওয়া এবং বন্দি বিনিময় শর্তে অনড় রয়েছি।
এদিকে, গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ শুরু হয়। ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ মানুষ। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালিয়ে ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে আসে। যাদের মধ্যে এখনো ১৩৪ জন হামাসের হাতে রয়েছে। এই জিম্মিদের বিনিময়েই এখন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে।