তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে টিকফা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। টিকফার সুফল বাংলাদেশ এখনো পায়নি। আগামী ডিসেম্বরে টিকফার সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, এখন এ সভা আগামী মার্চ বা এপ্রিলে সুবিধাজনক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, গত অর্থ বছর বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬২২০.৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ১০০৬.১০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত বাণিজ্য ৫২১৪.৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সিংহভাগ তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। আগেও তৈরি পোশাকের উপর কোন জিএসপি সুবিধা দিতো না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কেবলমাত্র তামাক, প্লাস্টিক, সিরামিক, টেবিল ওয়্যার এবং চামড়ার ব্যাগ রপ্তানির উপন জিএসপি সুবিধা দিতো, তা মোট রপ্তানির খুবই সামান্য ছিল। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের অধিকার, নিরাপত্তা প্রভৃতি বিষয়ে ইউএসটিআরের দেয়া শর্ত বাংলাদেশ সফলভাবে পূরণ করলেও শুধু রাজনৈতিক কারণেই বাংলাদেশকে দেওয়া সামান্য পরিমানের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশকে দেওয়া জিএসপির স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার না করার কোন কারণ নেই।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগত নতুন সরকারের সাথে বাংলাদেশের চলমান বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউএসটিআরের দেওয়া ১৬ টি শর্ত পূরণে বাংলাদেশর অগ্রগতি খুবই সন্তোষ জনক।

প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।