অগ্রসর রিপোর্ট :এখন থেকে যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের বদলে চারদিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। পরে পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত না হলে যাত্রীকে ১০দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য থেকে যারা আসবেন, তাদের সবাইকে চারদিন বাধ্যতামূলকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। চারদিন পর নমুনা পরীক্ষায় করোনভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া না গেলে বাড়িতে গিয়ে তিনি বাকি ১০ দিনের (মোট ১৪ দিন) কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করবেন।
আর চারদিন পর নমুনা পরীক্ষায় কারো সংক্রমণ ধরা পড়লে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হবে।
শুক্রবার থেকেই নতুন এ নিয়ম কার্যকর হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।
এতদিন যুক্তরাজ্য ফেরত সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছিল।
করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক একটি নতুন ধরন লন্ডন ও আশপাশের এলাকা থেকে দ্রুত ছড়াতে থাকায় গত মাসের শেষ দিকে অন্য অনেক দেশের মত বাংলাদেশেও যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের ব্যাপারে সতর্কতা বাড়ানো হয়।
২৩ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, যুক্তরাজ্য থেকে আসা যে যাত্রীর সঙ্গে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ‘নেগেটিভ’ সনদ থাকবে না, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সাতদিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এরপর ২৮ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করে সরকার, তা কার্যকর হয় ১ জানুয়ারি থেকে। ওই ১৪ দিন যাত্রীদের নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে রাখার ব্যবস্থা হয়।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিলেটের সিভিল সার্জন, দিয়া বাড়ি এবং আশকোনা হজ ক্যাম্পের ইনচার্জের কাছে পাঠানো নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, নতুন নিয়মে চারদিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সময়টা যাত্রীদের নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলেই কাটাতে হবে।
তবে কোনো যাত্রী হোটেলে যেতে না চাইলে তাকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
চার দিন পর নমুনা পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ হলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে। আর ফল ‘পজিটিভ’ হলে সেই যাত্রীকে সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রেও হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যয় যাত্রীকে বহন করতে হবে।